এসএন বাংলা নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ ৭৪ বছর পর ৫৭ বিঘা পৈত্রিক ভিটেমাটি বুঝে পেলেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার এক সংখ্যালঘু পরিবার। ১৯৪৭ সালে পাক-ভারত বিভক্তির সময় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় পৈত্রিক ভিটেমাটি থেকে সপরিবারে উচ্ছেদ করা হয় উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের মৃত মুক্তা রামের ছেলে শিব প্রসাদ সরদারকে।
অবশেষে সোমবার (২৯নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে পৈত্রিক ভিটেমাটি ফিরে পেয়েছেন উচ্ছেদের শিকার পরিবারটি।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের কাছে জানা গেছে, দেশ ভাগের সময় হিন্দু-মুসলিম বিরোধে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে ভিটেমাটি ও ফসলি জমিসহ ১৯ একর ১১ শতক সম্পত্তি জবর দখল করে নেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে ওই সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ‘খ’ তফশিল ভুক্ত হয়।
এমতাবস্থায় ২০১২ সালে বগুড়া ও জেলা জজ আদালতে বগুড়া জেলা প্রশাসককে বিবাদী করে ৩৬৭৪/১২ অর্পিত মোকদ্দমা দায়ের করেন শিব প্রসাদ সরদার। মামলাটি ২০১৩ সালে নিষ্পত্তি হয় এবং বাদী পক্ষ ডিক্রি পান।
প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক, সোমবার বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নেজারত শাখার প্রধান নাজির আহসান হাবিব ঢোলশহরৎ দিয়ে নালিশী সম্পত্তির মধ্যে পাঁচ একর ৮৭ শতক সম্পত্তির প্রকৃত মালিক শিব প্রসাদ সরদারকে বুঝে দেন।
এছাড়া বাকি সম্পত্তি ৩০ নভেম্বর এর মধ্যে বাদী পক্ষকে বুঝে দিতে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। দীর্ঘদিন পর পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদি শিব প্রসাদ সরদার বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। সেইসঙ্গে জমি বুঝে পেয়ে আদালত ও বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞতা’।