আবুজার গিফারী ও মিলন কবিরঃ ক্যান্সার,হূদরোগ,ডায়াবেটিকস,প্রতিরোধি পুষ্টি গুন সমৃদ্ধ রেড রাইস বা লাল চাউলে ধানের আবাদ করে সফল হয়েছে ফরিদপুরে তরুন এনামুল হাসান গিয়াস। কৃষি ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে চাকরির জন্য বসে না থেকে নিজেই উদ্যোগ নেন কিছু করার। চেষ্টা ও আগ্রহ থেকে কৃষি কাজে নেমে যান ।গতানুগতিক কিছু না করেই ভিন্ন কিছু করার চেষ্টায় ছিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের কৃষি সম্পর্কে খোঁজ করেন এবং তাতে তার বিভিন্ন প্রজাতির ধান আবাদের আগ্রহ বেড়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় হঠাৎ তার চোখে পড়ে ইন্দোনেশিয়ার রেড রাইস ধান ।এই ধানের রয়েছে বিশেষ গুনাগুন ক্যান্সার হূদরোগ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং অধিক পুষ্টি গুণাগুণ সম্পন্ন। এই ধান পরীক্ষামুলকভাবে আবাদ করতে মাঠে নামেন গিয়াস ফরিদপুর জুড়ে মোটামুটি ভাবে সাড়া ফেলে ।
এছাড়া তার পাশাপাশি দামি ব্ল্যাক রাইস ধান উৎপাদন করেছেন আর একই সাথে রেড রাইস ধান কর্তন শুরু হয়েছে । যা এই মাসে তিনি ঘরে তুলতে পারবেন বলে এসএন বাংলা নিউজ ডটকমকে জানিয়েছেন,ফরিদপুর কৃষি কলেজ ছাত্র সাবেক ভিপি এনামুল হাসান গিয়াস।
তিনি পড়ালেখা শেষ করে অল্প কিছুদিন একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, কিন্তু তার কৃষির প্রতি আলাদা ভালোবাসা থাকায় সেই চাকরি ছেড়ে তিনি নিজেই কৃষি কাজে নেমে পড়েন। দেশের মানুষকে ভালো কিছু উপহার দিতে আবাদের সন্ধানে নামেন তিনি। কৃষি কলেজের ২৫০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে আবাদ করেন ‘রেড রাইস’ ‘ব্ল্যাক রাইস’ এবং ইন্ডিয়ান কস্তুরী ধানের বীজ, প্রথম বছরেই তিনি সফল হয়েছেন ।
তার ক্ষেত জুড়ে দোল খাচ্ছে রেড রাইস ব্ল্যাক রাইস এবং ইন্ডিয়ান কস্তুরী ধানের শীষ।ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এই ধান আমাদের দেশের আবহাওয়াতেও বেশ ভালো ফলন দিয়েছে। তিনি আরো জানান ২৫০ শতাংশ জমিতে এই ভিন্ন জাতের ধান উৎপাদন করতে তার সর্বমোট খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা, ধান ও বীজ বিক্রি করে ২ লাখ টাকা পেতে পারেন এমনটা আশা করেন তিনি। গিয়াসের এই ‘রেড রাইস’ ‘ব্ল্যাক রাইস ধান আবাদের খবর শুনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন চাষিরা এবং অনেকেই এই ধান চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।