নিউজ ডেস্কঃ চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলীর বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।নিজ বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ফুলিয়ে ফাসলিয়ে বিয়ে করা।পরে তার চাকরী চুতের জন্য ভুয়া কাবিন সাজিয়ে জালিয়াতি করাসহ কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল হামিদের সাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়োগ প্রদানসহ দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন উঠানোসহ নানান অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে অসদ আচারন ও ছাত্রীদের ব্লাকমেইল করে শীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষক আনসার আলীর বিষয়ে এক অভিভাবক মোছাদ্দেক আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চন্দনপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আনসার আলী আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে।২৮-০২-২০২০ তারিখে একটা বিয়ে করে এটা সঠিক। কিন্তু ব্যাক ডেটে একটা বিয়ে করেছে ২০১৮ সালে এই বিয়েটা ভুয়া।আমার মেয়ে একটা সরকারী চাকরী করে এজন্য তার চাকরীটা খাওয়ার জন্য সে উঠেপড়ে লাগে।শুধু তাই না সে এক সাথে দুই স্কুলের বেতন উঠায় ।হিজলদী স্কুল ও চন্দনপুর স্কুল থেকে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আনসার আলীর সাথে ২৪ ঘন্টা টেলিভিশন এর টিম যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি এখান থেকে সাড়ে তিন বছর আগে আমার প্রথম স্ত্রীর অনুমতিক্রমে আমার সাংসারিক কিছু সমস্যা থাকায় আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি।সে আমার ছাত্রী ছিল ২০১৬ সালে সে এখান থেকে এসএসসি পাস করে এখান থেকে চলে গিয়ে ২০১৯ সালে সে এইচএসসি পাস করে।
সে নিয়মিত আমাদের বাড়িতে যাতায়াত করত।আমিও তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতাম।কিন্তু আমার পরিবারের সম্মতি ক্রমে আমি তাকে বিয়ে করি।পরবর্তিতে তার বাবা মাসহ আমার কাছ থেকে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা ধার নেই।আমার পাওনা টাকা যখন আমি তার কাছে চাইতে যাই তখন সে আমাকে বলে আমার বাবা কেই কোন টাকা নেইনি।এই বলে সে সম্পূন্য অশিকার করে।ইতি মধ্যে তখন তার টেনিং ও শেষ হয়ে যাই।তিনি আরো বলেন তারা আমাকে সড়যন্ত্রে জড়িয়ে ফেলেছেন।আমার সম্মান হানি করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় আমার বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।
(৫ পর্বের ধারাবাহিকের- ১ম পর্ব)