মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন:- গত ২৮ নভেম্বর/২০২১ ইং তারিখ শেষ হয়েছে শার্শা উপজেলার ১০ টি ইউপি নির্বাচন। ১০টির মধ্যে নৌকা জয়ী হয়েছে ৫টিতে এবং ৫টিতে জয়ী হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। এবারকার ইউপি নির্বাচনে বড় কোন দলের অংশ গ্রহণ না থাকায় আ.লীগের প্রতিপক্ষ আ.লীগ অর্থাৎ নৌকার প্রতিপক্ষ হিসেবে ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্ধিতায় নামে নৌকা মার্কা না পাওয়া বিদ্রোহী/স্বতন্ত্র প্রার্থী। নৌকাকে পরাজিত করতে এবং আ.লীগকে দ্বি-খন্ডিত করার ষড়যন্ত্রে নামে ওৎ পেতে থাকা বিএনপি-জামায়াত সংগঠন। তারা রুইতনের টিক্কা হিসেবে বেছে নেয় বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে।
নগদ টাকার লেনদেন সহ বিভিন্ন ভাবে ইন্ধন যোগাতে থাকে বিএনপি-জামায়াতরা। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কেন্দ্রের আ.লীগ নীতি নির্ধারকরা বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা জারী করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবার ঘোষণা প্রদান করে। কিন্তু দলের সেই ঘোষণা উপেক্ষা করে শার্শা উপজেলার বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ ইউপি নির্বাচন কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে নৌকার বিপক্ষে প্রতিপক্ষ হয়ে ভোট যুদ্ধে অংশ নেয়। এদের মধ্যে কয়েকজন নির্বাচনের দু’দিন আগে শার্শা উপজেলার সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনের অনুরোধে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। বাকী অন্যান্যদের মধ্যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে নৌকার প্রার্থী অত্র উপজেলার ৮নং বাগআঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী-মোঃ ইলিয়াছ কবির বকুল(বর্তমান চেয়ারম্যান)।
তিনি ঐ নির্বাচনে বিএনপি-জামাতপুষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল খালেকের কাছে আধাআধি ব্যবধানে পরাজিত হন। অবশ্য এর কারণ হিসেবে নৌকার প্রার্থী ইলিয়াছ কবির বলেছেন, কেন্দ্র বিএনপি’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক-মফিকুল হাসান তৃপ্তি’র বাড়ী এবং জামায়াত ইসলামের নেতা আজিজুর রহমানের বাড়ী অত্র এলাকায় হওয়ায় বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপি-জামাত অধ্যুষিত এলাকা বলে বিবেচিত। সে কারনে নির্বাচনের দিন তারা প্রভাব খাটিয়ে ভোট কেন্দ্রগুলো নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে নেয়। ভোট কেন্দ্রে কর্তব্যরত নৌকার এজেন্টরা ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়,ফলে কেন্দ্র শূণ্য হয়ে পড়ে নৌকার এজেন্ট,এই ফাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী’র গংয়েরা কেন্দ্রে ঢুকে স্বতন্ত্র প্রার্থী’র মার্কা আনারসে জাল ভোট দিতে থাকে,আর এর ফলে পরাজিত হন দুইবারের জয়ী নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান-মোঃ ইলিয়াছ কবির বকুল।
বে-সরকারী ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল খালেকের নাম ঘোষণার পর থেকে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন ঘিরে চলে বিএনপি-জামাতের তান্ডপ। নৌকা মার্কায় যারা ভোট দিয়েছেন এবং যারা সমর্থক হিসেবে কাজ করেছেন তাদের ঘর-বাড়ী ভাংচুর সহ মারধর করে তাদেরকে বাড়ী ছাড়া করে রেখেছে। পুরো ইউনিয়ন জুড়ে বিএনপি-জামাত আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। বুধবার(১৫ ডিসেম্বর) সকালে ঐ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা বসতপুর গ্রামে পরিদর্শনে যান শার্শার সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়ী বাড়ী যান তিনি,ভাংচুর সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে জানেন সবকিছু,ক্ষতিগ্রস্থ সকল পরিবারকে সান্তনা দেন তিনি।
যারা এসব সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্থ করেন। যারা বাড়ী ছাড়া হয়েছেন তাদেরকে ফিরে আসতে বলেন,এ সময়ে এমপি’র সাথে থাকা শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)বদরুল আলম খানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। এ সময় প্রিয় এমপি কে কাছে পেয়ে বসতপুর গ্রামের শরিফপুর ২নং কলোনীর ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্য থেকে আব্দুল গফ্ফার,মান্নান,সুফিয়া খাতুন,মনির,মকবুল,আব্দুল আজিজ,লুৎফর,আবু তালেব,আবুল কাশেম,শফিকুল ইসলাম,ধনু মিয়া,জামাল হোসেন,তাসলিমা,সুখচাঁন,কামরুল ইসলাম,আব্দুল মালেক,শহিদুল,রুহুল আমিন সহ অন্যান্যরা ক্ষতি পূরনের দাবি জানান। তারা বিএনপি – জামাতপুষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেকের বিচার চেয়ে পুণঃ নির্বাচনের দাবি জানান এবং সুষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে তারা আবার তাদের প্রিয় চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল কে ক্ষমতায় অধিষ্ঠ করার দাবি তোলেন। পরিদর্শনকালে এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের সাথে অংশ নেন- শার্শা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সভাপতি-বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল হক মঞ্জু,
৮নং বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-ইলিয়াছ কবির বকুল,ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি-ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ,১০নং শার্শা ইউনিয়ন পরিষদ এর নব-নিবাচিত চেয়ারম্যান-মোঃ কবির উদ্দিন আহম্মেদ তোতা,শার্শা যুবলীগ সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদ সদস্য-অহিদুজ্জামান অহিদ,সাধারণ সম্পাদক-মোঃ সোহরাব হোসেন,বেনাপোল পৌর আ.লীগ সভাপতি-এনামুল হক মুকুল,সাধারণ সম্পাদক-মোঃ নাছির উদ্দিন,এমপি’র পিএ-মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, পৌর যুবলীগ আহবায়ক-আহাদুজ্জামান বকুল,যুগ্ম আহবায়ক-মোঃ জসিম উদ্দিন,শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-মোঃ আব্দুর রহিম সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক-আল আমিন রুবেল,
বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি-জুলফিকার আলী মন্টু,সাধারণ সম্পাদক-কামাল হোসেন,সায়গঠনিক সম্পাদক-নাজিম উদ্দিন রাব্বি,বাগআঁচড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক-তুতুল, ৫নং বসতপুর ওয়ার্ড আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক-রওশন আলী,আ.লীগ নেতা-খায়রুল আলম দুষ্টু,ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি-আলী আহম্মেদ, যুবলীগ নেতা-রিয়াজ পারভেজ টিটু, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ:সভাপতি-আব্দুর রউফ পিন্টু,বাগআঁচড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক-মেহেদী হাসান অপু,বাগআঁচড়া কলেজ ছাত্রলীগ নেতা-অহিদুজ্জামান সহ শার্শা উপজেলা আ.লীগ ও এর সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-নেতৃবৃন্দ।