দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোরের বেনাপোলের বুজতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম, নোয়াখালীর সেনবাগ থানার আহাম্মদপুর (পণ্ডিত বাড়ি) গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে ড্রাইভার আব্দুল কুদ্দুস ও মৃত এরশাদ উল্লাহ মাস্টারের ছেলে গোলাম মাওলা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর সকালে যশোরের র্যাব-৬ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বেনাপোল থেকে ফিরোজা কার্গো গাড়িতে ফেনসিডিল নিয়ে যশোরের দিকে আসছে। ডিএডি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বেনাপোল সড়কের গলফ ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি শুরু করেন। ফিরোজা কার্গো গাড়িটি চেকপোস্টে এলে তল্লাশি করে ১২টি চটের বস্তায় ২ হাজার ২৪৬ বোতল ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধার এবং ওই তিনজনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় ডিএডি আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চোরাচালান দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন এসআই মাহফুজুল হক এজাহার নামীয় তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।
মিলন কবির/এসএনবিএন