মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):উপজেলা প্রশাসন, শার্শা ও বেনাপোল পৌরসভা এর যৌথ আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, শার্শা এর সার্বিক সহযোগিতায় বেনাপোলে ভাসমান ও যারা এখনও ১ম ডোজ টিকা নেননি তাদের জন্য এই ভ্রাম্যমাণ টিকাদান কর্মসূচী এর আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার(২৪ ফেব্রুয়ারী) বেনাপোল বাজারস্থ নুর শপিং কমপ্লেক্স এর সম্মুখে ভ্রাম্যমান টিকাদান কর্মসুচি’র উদ্বোধন করা হয়। সরকার নির্দেশিত কর্মসূচি’র ঐ আয়োজনে উপস্থিত হয়ে সাধারণের মধ্যে টিকা প্রদান করেন শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা-মীর আলিফ রেজা,সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও বেনাপোল পৌরসভার নবাগত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা-রাসনা শারমিন মিথি, থানা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-ডাঃ মোঃ ইউসুফ আলী, বেনাপোল পৌরসভার সচিব-সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস, ওয়ার্ড কমিশনার ও প্যানেল মেয়র- শাহাবুদ্দিন মন্টু,বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ কামাল হোসেন ভুঁইয়া,পৌর স্বাস্থ্য সহকারী-হাফিজুর রহমান,শার্শা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য সহকারী-আব্দুল মামুন,ইসলামিক ফাউন্ডেশন শাশা উপজেলা শাখার জিসি-মোঃ আব্দুল আলীম,পৌর স্যানেটারী ইন্সপেক্টর-রাশিদা খাতুন।
সকাল সাড়ে ৮ টায় শুরু হয় টিকাদান কর্মসুচি বিকাল ৩ টা অবদি পুরুষ,মহিলা সহ প্রায় ৮০০ জনের মধ্যে OXFORD(ENGLAND) এর তৈরী ASTRAZENECA এবং চীনের তৈরী SINOPHARM টিকা দেওয়া হয়।
টিকা প্রদান প্রসংগে নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত একুশে পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ” টিকা গ্রহণ সহ সকলকে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে,তিনি বিনা পয়সায় সাধারনের জন্য টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন,যাতে করে একটি মানুষও যেন টিকা থেকে বাদ না যায়, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল পৃথিবী’র অনেক দেশ এখনও পর্যন্ত এভাবে ফ্রি-টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করেনি, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে টিকা গ্রহনের বিকল্প নেই”। ভ্রাম্যমান টিকাদান কর্মসুচিতে এসে সকলকে টিকা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান উপজেলার এই নির্বাহী কর্মকর্তা।
পাবলিক প্লেসে টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেওয়ায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালণ করেন বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশ এবং বেনাপোল পৌরসভার নিজস্ব পুলিশ বাহিনী।
এদিকে, গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৪জন পুরুষ এবং ১জন নারী।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৯৫ জনে।
একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৫ জনে। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এতসব ঝুকির মধ্যে সরকার ইতোমধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। টিকা নিন,সুস্থ থাকুন।