বিস্ফোরণের তীব্র ঝলকানি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আকাশে। থেকে থেকেই গোলাবারুদের শব্দ। রাজধানীর অদূরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পুড়ছে একটি তেলের ডিপো। চতুর্থ দিনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের অন্যান্য শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ নিক্ষেপ করে যাচ্ছে রাশিয়া। প্রতিরোধও গড়ে তুলছে ইউক্রেনের সেনা সহ জনতা। হতাহত হচ্ছে দেশটির সাধারণ নাগরিক। প্রাণ ভয়ে ঘর-বাড়ি ছাড়ছে বাসিন্দারা।
ইউক্রেনকে যুদ্ধ সরঞ্জাম ও জ্বালানি সহায়তার ঘোষণা জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার। এরইমধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছেছে লিথুয়ানিয়ার সামরিক সরঞ্জাম। এছাড়া সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের প্রতিবাদ হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বসহ কিছু দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইসরায়েল, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশে চলছে প্রতিবাদ সমাবেশ। খোদ রাশিয়াতেও যুদ্ধের প্রতিবাদে হচ্ছে বিক্ষোভ।
একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে রাশিয়া। ইউরোপের আকাশ সীমায় রাশিয়ান বিমান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ধনী রাশিয়ানদের গোল্ডেন পাসপোর্টও সীমিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করবে না মেটা ভার্স। রুশ ব্যবহারকারীদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে টুইটারও।
এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দামামায় যখন বিশ্ব উত্তপ্ত, এরমধ্যেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। এর নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।
জাপান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নবুও কিশি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সে সময় উত্তর কোরিয়ার এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন মেনে নেয়া যায়না। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।