মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর): ভাল কাজের প্রলোভোনে পড়ে দুই বছর আগে দালালের খপ্পরে পড়ে ভারতে পাড়ি জমান দুই শিশুসহ ১৫ জন বাংলাদেশী নারী-পুরুষ। কিন্তু মিথ্যা আশ্বাসে অবৈধভাবে পাড়ি জমানো ঐ সকল নারী-পুরুষ ভারতের অভ্যন্তরে সেখানকার পুলিশের কাছে ধরা পড়ে,পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। সেখানে দুই বছর কারাভোগ শেষে রবিবার বিকালে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়। ভারতের পেট্রাপোল পুলিশের একটি দল তাদেরকে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। এদের মধ্যে ১১জন পুরুষ,২ জন নারী ও ২ শিশু রয়েছে।

এরা হলো- কক্সবাজার জেলার আব্দুল মালেকের ছেলে মোহাম্মাদ শাহিন (২৭) গাজিপুর জেলার মোহাম্মাদ মফিজ আলম এর ছেলে উজ্জল মিয়া (২২) পাবনা জেলার তজিব উদ্দিন এর ছেলে মোতালেব হোসেন (২৩) বগুড়া জেলার আবুল হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেন (২৩) পটুয়াখালী জেলার রুহুল আমীন এর ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩২) ময়মনসিংহ জেলার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩২) নড়াইল জেলার মহন আলীর ছেলে ইকবাল মোল্যা (৩৭) বাগেরহাট জেলার আবুল কালাম এর মেয়ে তাছলিমা খাতুন (২৩) একই জেলার ইকবাল মোল্যার মেয়ে তনি (৬) ও তার মেয়ে মুন্নি (৪) খুলনা জেলার দাউদ এর মেয়ে লাখি বেগম (২৪) পাবনা জেলার আছাদ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২২) একই জেলার মিনাজ সরদার এর ছেলে মিঠু সরদার (২৭) নোয়াখালী জেলার রহমান মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৩) যশোর জেলার ননী গোপাল এর ছেলে উজ্জল কুমার (২০) ।
বাংলাদেশে ফেরত আসা ফরহাদ নামের একজন বলেন, অভাব অনটনের সংসারে গত দুই বছর আগে তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পথে ভারতের চেন্নাই শহরে পাড়ি জমায়। সেখানে ১৫ দিন কাজ করার পর সেদেশের পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়ে সে দেশের আদালত পুজ্জল সেন্ট্রাল জেল-হাজতে পাঠায়। সেখানে দুই বছর জেল খেটে আজ দেশে ফেরেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজু বলেন, এরা ভালো কাজের আসায় সীমান্ত পথে ভারতে যায়। তাদের কাছে পাসপোর্ট ভিসা না থাকায় সেদেশের পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। এরপর দুই বছর জেল খেটে আজ তারা দেশে ফিরেছে, ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে যশোর জেলা জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে বেসরকারী একটি এনজিওর কাছে এদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার এর সমন্বয়কারী রোকেয়া পারভিন জানায়, ফেরত বাংলাদেশীদের নিজেদের শেল্টার হোমে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তাদের সেখানে রেখে পরিবার এর সাথে যোগাযোগের মাধ্যেমে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।