মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):বেনাপোলে বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় মাদক ও নিষিদ্ধ পণ্য আমদানিতে সহযোগীতার অভিযোগে দুই সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিলও মামলা দায়েরের প্রতিবাদে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনেও চলছে ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতী। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করেছে। এতে গতকাল সকাল থেকে এপথে ভারতের সাথে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও পণ্য খালাস কার্যক্রম। ফলে বন্দরে শত শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে।
এর আগে গত বুধবার সকালে বেনাপোল বন্দর থেকে গোপন সংবাদে একটি ভারতীয় ট্রাক আটক করে কাস্টমস সদস্যরা। পরে ট্রাক তল্লাশি করে বৈধ পণ্যের সাথে রাখা বিপুল পরিমানে ফেনসিডিল,মদ,সিগারেট,বোমা তৈরীর সরঞ্জম ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য পায়। মাদকের চালান প্রবেশে সহযোগীতার অভিযোগে শিমুল ট্রেডিং এজেন্সী ও আইডিএস গ্রুপ লিমিটেড নামে দুই সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও এক কর্মচারীর নামে পুলিশে মামলা দায়ের করে কাস্টমস সদস্যরা। এভাবে মাদক প্রবেশে যুব সমাজ তির মুখে পড়বে স্থানীয়রা। অপরাধীদের সনাক্ত করে শাস্তি মুলক ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন তারা।
এদিকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সড়ক ও রেল পথে বড় ধরনের বাণিজ্য হয় ভারতের সাথে। কর্মবিরতীতে দুই দিন ধরে বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে সহস্রাধিক ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে। আটকা পড়া আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকলকারখানার কাচামাল,খাদ্য দ্রব্য জাতীয় পণ্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য উল্লেখ্যযোগ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, কোন আমদানি কারক বা সিঅ্যান্ডএফ চোরাচালানী করেনা। যারা এসবের সাথে জড়িত কাস্টমস তাদের ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায়ীদেও নামে মামলা করেছে। মামলা প্রত্যাহর ও লাইসেন্স বাতিলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে এ কর্মবিরতী চলবে।