কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ২৫ মার্চ থেকে ভারতীয়দের ভ্রমন ভিসার আবেদন গ্রহণ করে। পরে ৩০ মার্চ থেকে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসগুলো বাংলাদেশিদের ভ্রমন ভিসা প্রদান করে। এতে সোমবার থেকে ভ্রমন ভিসায় দুয়ার খোলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণের। বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল বলেন,২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দিলে ১৩ মার্চ সীমান্ত বন্ধ করে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। এতে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী পারাপার।করোনা সংক্রমণ কমে আসলে ৬ মাস পর মেডিকেল ও বিজনেস ভিসা চালু হয়।
তবে এসব ভিসায় পারাপারে বিধিনিষেধ থাকায় ভ্রমণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।ফলে দুই দেশের মানুষের দাবি অনুযায়ী ভ্রমন ভিসা চালুর মাধ্যমে যাতায়াত সহজ করা হয়েছে। অনলাইনে ভিসা কার্যক্রম করেন এমন এক উদ্যোক্তা ইকবাল হোসেন বলেন, সহজে ভিসা মেলায় ভারত ভ্রমনেচ্ছুকদের ভিসা আবেদন বেড়েছে।বাংলাদেশিদের ভিসা দিতে ভারতীয় দূতাবাস ৮৪০ টাকা চার্জ নিচ্ছে। আর বাংলাদেশ দূতাবাস ভিসা ফি নিচ্ছে ৮২৫ রুপি। সীমান্ত অতিক্রমের সময় বাংলাদেশ সরকার ভ্রমণ কর বাবদ ১২ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেক যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা,৫ থেকে ১২ বছরের মধ্যে যাত্রীদের ২৫০ টাকা আদায় করছে।
৫ বছরের নিচে শিশুদের ভ্রমণ কর মওকুফ রয়েছে। বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মদ রাজু বলেন, ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হওয়ায় বেনাপোল দিয়ে যাত্রী পারাপার বেড়েছে। তবে নতুন করে যারা ভিসা নিয়েছেন তারাই কেবল ভারতে যেতে পারছেন। পুরানো ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত আপাতত বন্ধ রয়েছে। “ভারত ভ্রমনে বাংলাদেশিদের করোনার ডাবল ডোজ টিকা নেওয়া থাকলেও পেট্রাপোলে তাদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ লাগছে। ভারত থেকে ফেরার সময় করোনা পরীক্ষা করতে হবে না। তবে ভারতীয়রা ডাবল ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে পারাপার হতে পারছেন।” পেট্রাপোলে করোনা পরীক্ষার নামে হয়রানি করা হচ্ছে বলে কুষ্টিয়ার আবুল কালাম (৩৭) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,ভারতীয়রা ডাবল ডোজ টিকায় করোনা নেগেটিভ সনদ বাদেই বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াত করছে।
অথচ বাংলাদেশিরা ডাবল ডোজ টিকায় ভারতে ঢুকতে পারছে না।পেট্রাপোলে ১৫শ’ টাকা খরচা করে করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। এই বৈষম্যে আরো ক্ষোভ প্রকাশ করেন যশোরের পবিত্র দাস (৪০),মনিরামপুরের হায়দার আলি (৪৫),কুষ্টিয়ার রওশন-আরা বেগম(৫০)।
মিলন কবির/এসএনবিএন