বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শব্দদূষণ বন্ধে সেবা সংগঠন এর পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি এবং স্মারকলিপি প্রদান  দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে- রাঙ্গামাটির সাংগ্রাই উৎসবে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী যার যার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি পালন করার স্বাধীনতা দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছেন-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী রাজধানীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাহাড়ি প্রাণের উৎসব বৈসাবি পালিত ঝিনাইদহে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঈদের বাজার ঝিনাইদহে ঈদ উপলক্ষে অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ঝিকরগাছায় সেবা’র চার শতাধিক ব্যক্তির মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ গরীব অসহায় ও দুস্থদের মাঝে কোটচাঁদপুর ব্লাড ব্যাংকের উদ্দ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ঝিকরগাছা ফেমাস ক্লিনিক কাগজে কলমে বন্ধ, ভেতরে চলছে অপারেশন সহ সবকিছু বেনাপোলের কিশোরীর মরদেহ যশোরে উদ্ধার

সুনামগঞ্জে গোয়ালঘরে ধূপের আগুনে গরু ভেড়া ও হাঁস পুড়ে ছাই

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩২২ Time View
স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর এলাকার মুজিব নগরে এক অসহায় গরীব কৃষকের গোয়ালেঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গোয়ালঘর ও ১টি ষাঁড় ,১০টি ভেড়া ও ২০টি হাঁস সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হলে ও আরো দুটি গাভীর শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে যায়। এতে প্রায় পাচ লাখ টাকার উপর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,রবিবার ১০ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৯টায় ঘরের মালিক লিটন দাস তার গোয়াল ঘরে ধূপ দিতে দিয়ে তার মনের অজান্তে একটি কাঠের আংটা মাটিতে পড়ে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে এবং তা নিমিষেই পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ প্রায় একঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হলেও ততোক্ষনে টিনসেটের গোয়াল ঘর এবং গরু,ভেড়া ও হাসসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক লিটন দাস শ্যামাচরের বাগহাটিতে বসবাস করলেও ঘটনার দিন রাতে তার পরিবারের লোকজন পাশের মুজিব পল্লীতে স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল এবং লিটন দাস রাতে গোয়াল ঘরে ধূপ দিতে দিয়েই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ লিটন দাস কান্নাজড়িত কণ্ঠে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্ট করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু তার স্বপ¦ ছিল ১টি ষাঁড় ২টি গাভী,১০টি ভেড়া ও ২০টি হাঁস। তিনি সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ঘর নির্মাণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে শ্যামারচর বাজারের ব্যবসায়ী মো. আজিজুল হক অগ্নিকান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,লিটন দাস আসলেই সহায় সম্বলহীন এক দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার গোয়ালঘর ও গরু ভেড়া ও হাঁসগুলো পুড়ে যাওয়াতে সে চরম বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। তাকে সরকার সহযোগিতা করলে ঘুরে দাড়াতে পারত। এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুনের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 SN BanglaNews
কারিগরি সহযোগিতায়: