যশোরের ঝিকরগাছায় পল্লীতে একটি মক্তবের হুজুর ও মসজিদের ইমামকে ‘রাখা না রাখার’ বিষয়ে মতপার্থক্যে গ্রামবাসীর দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে।

বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ওসি কামরুজ্জামান বলেন,শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় উপজেলার দেউলি আতিয়ার রহমান খান ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা মসজিদের মুসুল্লিদের মাঝে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সংঘর্ষে মারাত্মক ভাবে আহত উপজেলার দেউলি গ্রামের সেলিম হোসেন(৪০),শাহিন রিপন হোসেন (৩০),আব্দুল্লাহ (২০),হযরত আলি (৫৫),ইশারত আলি (৫২) ও নূরহোসেন (৩৫) বিশা (৫৫)মাসুম(২০)বিপ্লবকে (২৮) নাভারন  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,সিরাজুল খাঁ(৫০)সোহারাব হোসেন(গুন্ডার) নেতৃত্বে তার  দুই ছেলে চয়ন(২৮)নয়ন(২৫)শফি খাঁ(৪০) রিংকু খাঁ(২৮)সামাদ (৪০) রহিম (৩৫) জামাল (২০) পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাঁতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মসজিদের ভিতরে হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে ওসি কামরুজ্জামান বলেন,মাওলানা আব্দুর রউফ(৫০) দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে আসছেন।কিছুদিন তিনি অসুস্থ হওয়ায় গ্রামের একটি গ্রুপ তাকে সরিয়ে দিতে চাইলে গ্রামবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মসজিদের ভেতরে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫জন মুসুল্লি আহত হয়।আহতদের ছয় জনের অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় হাজিরবাগ ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন,এই মসজিদ ও মক্তবের হুজুর নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গ্রামবাসীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।আমরা নিরসনের চেষ্টাও করেছিলাম কিন্তু আজ গন্ডগোল করায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে গেল।

এদিকে হাজিরবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন,মক্তব ও মসজিদের জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ ও টাকাপয়সা নিয়ে মুলত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এনিয়ে কয়েক দফা বসাবসিও করা হয়েছে। ওসি কামরুজ্জামান বলেন,পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।নজরুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।এ ব্যাপারে কেউ এখনও মামলা করেনি।

মিলন কবির/এসএনবিএন