শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ঝিনাইদহে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপিত কালীগঞ্জে ভরসার নতুন জানালা উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ ঝিনাইদহে বসেছে দেশে প্রথম ড্রাগন ফলের বাজার, দুশ্চিন্তা কেটেছে কৃষকদের বিকাশ রকেট নগদ ও উপায় এর হ্যাকার চক্রের দুই সদস্য আটক শার্শায় ৪টি ক্লিনিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা কালো ও বেগুনী জাতের ধান চাষ করে অবাক করেছেন শার্শার কৃষক জিয়া। শার্শায় অস্ত্র ও গুলিসহ গোল্ড নাসিরকে আটক করেছে র‌্যাব মহেশপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত ডিএমপি কমিশনার হলেন হাবিবুর রহমান মহেশপুরের দত্তনগর কৃষি খামারের বিএডিসির ৮ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

চাঁদপুরের কয়েকটি গ্রামে ঈদ পালন করছেন এক পীরের মুরিদরা

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১ মে, ২০২২
  • ২২৭ Time View

স্টাফ রিপোর্টারঃ এবারই প্রথম সৌদি আরবকে অনুসরণ না করে আফগানিস্তান, নাইজার ও মালির সাথে মিলিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা ও শমেসপুরসহ কয়েকটি গ্রামের কিছু অংশের মানুষ। তারা সকলে সেখানকার স্থানীয় একজন পীরের মুরিদ। আজ সকালে হাজীগঞ্জের সাদ্রা ডিগ্রি ফাজিল মাদরাসার মাঠে তাদের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। এতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাদের প্রায় শ খানেক অনুসারী জামাতে অংশ নেয়।

আগে সৌদির সঙ্গে মিলিয়ে ঈদ করলেও এবার আফগানিস্তান ও মালির সঙ্গে মিলিয়ে ঈদ করা নিয়ে উদযাপনকারীদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যেই অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

দেশে চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষা না করে আগেই ঈদ উদযাপন করার বিষয়ে সাদ্রা দরবারের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি— এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে সেখানকার মুসলমানরা সে অনুযায়ী রোজা রাখতে ও ঈদ করতে পারবে। শনিবার আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখে গেছে। সে খবর অনুযায়ী আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটস্থ খানকা, আসকোনা এবং পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরিফেও ঈদের জামাত হয়েছে। চাঁদ দেখার বিষয়টি যথাসময়ে পৌঁছে দিতে না পারায় অনেক গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়নি। তারা পরে ঈদ উদযাপন করবে বলেও জানান তিনি।

তবে সাদ্রা দরবার শরিফের আরেক পীর মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, আমরা ঈদ করছি না। আমার চাচারা ঈদ উদযাপন করলেও আমাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। আমরা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবো।

স্থানীয়রা জানান, সরা দেশে যখন পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়, তখন সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামে এক দিন আগে থেকে রোজা পালন শুরু হয়েছে। আজ রোববার যখন এ দুটি গ্রামের একটি অংশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে, তারা পালন করেছেন ২৯ রোজা। আর বাকি অংশ যখন সোমবার ঈদ উদযাপন করবে, তাদের পালন করা হবে ৩০ রোজা।

উল্লেখ্য, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রতি বছর চাঁদপুরের তিনটি উপজেলার ৪০টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 SN BanglaNews
কারিগরি সহযোগিতায়: