শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
কলারোয়ায় কিশোর গ্যংয়ের হামলায় তরুণ নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম ঝিনাইদহের আশিকুজ্জামান প্রান্ত সরকারি চাকুরিজীবী সকলকে সরকারের নির্দেশিত ডকুমেন্টস অনুযায়ী কাজ করতে হবে- পার্বত্য সচিব মো. মশিউর রহমান শৈলকুপার সোহরাব আলী ৬১ বছর পর স্কুলের বেতন পরিশোধ করলেন! ঋষি ফাউন্ডেশন’র ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন বাগআঁচড়ায় এমপি আফিল উদ্দিনের আগমন উপলক্ষে সামটায় নিবার্চন প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত শার্শায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হৃদয়ের বন্ধন ব্লাড ব্যাংকের তৃতীয় বর্ষে পদার্পনে মিলনমেলা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত শার্শায় জামগাছ থেকে পড়ে স্কুল ছাত্রের অকাল মৃত্যু ভালো দাম পেলে বিক্রি হবে আসমা ভাবির লালু পালোয়ান।

সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ১৬ শত একর পাকা ধান ও বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২
  • ১৭৬ Time View

আমির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের করচার হাওরের উঁচু এলাকার ২৬ গ্রামের কৃষকের পাকা ধান ঢলের পানিতে ডুবেছে। বানের তোড়ে ১৫ টি বসত বাড়ি ভেসে গেছে। শুক্রবার বিকেলে গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দুটি অংশ ভেঙে এই বিপর্যয় দেখা দেয়। আজ শনিবার বেলা ১১ টায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বসতভিটা হারানো পরিবারসহ ৫০ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।

 

এদিকে শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর,সোনাপুর,চাঁনপুর,গবিনপুর ও সাক্তারপাড় এই পাচঁটি গ্রামের প্রায় ১৬শত একর স্কীমের তীরে রাখা কাটা পাকা ধান বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান শাহারিয়ার,ভাইস চেয়ারম্যান এড. মো. আবুল হোসেন,জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু,সিনিয়র সদস্য সবুজ কান্তি দাস,গৌরারং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. হোসেন আলী,জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অমিয় মৈত্র প্রমুখ। এদিকে জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের কৃষকের প্রায় আট হাজার হেক্টর জমি রয়েছে করচার হাওরে। হাওরের প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে সপ্তাহখানেক আগেই। কিন্তু উঁচু এলাকার জমির ধান এখনো রয়েই গেছে। এসব জমিতে বিআর ২৯ জাতের ধানের আবাদ বেশি হয়েছে।

ফলনও বাম্পার হয়েছে। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও চলতি নদীর পানি বাড়ায় গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দুটি অংশ হঠাৎ করে ভেঙে প্রবল বেগে ঢুকা ঢলের পানিতে ভাদেরটেক গ্রামের বসতভিটা ভেসে গেছে। এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি-উর-রহিম জাদিদ বললেন, গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের দুটি অংশ পানির চাপ সামলাতে না পেরে ভেঙেছে। কিছু পরিবারের বসতভিটা ভেসে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। পাকা ধান কেটে আনতেও কৃষি অফিস সহযোগিতা করছে।

 

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল বলেন,হঠাৎ করে গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের পাচঁটি গ্রামের কৃষকদের হাওর থেকে কেটে এনে তীরে রাখা ধান বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। তিনি এই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে কিভাবে সহায়তা দেয়া যায় তা নির্ধারন করে একটি তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হবে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিশ্চয়ই ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহায়তা প্রদান করবেন বলে আশাবাদব্যক্ত করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 SN BanglaNews
কারিগরি সহযোগিতায়: