এন এম সরকার- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি বসত বাড়িতে নকল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরী হচ্ছে। এমন খবরে কয়েকজন সাংবাদিক ওই বাড়িতে পৌছিলে কারখানায় কর্মরত কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মুখ ঢেকে একে একে পালিয়ে যেতে থাকে। এতে নকল প্রসাধনী তৈরীর বিষয়টি সাংবাদিদের সত্য মনে হলে তারা কারখানার ভিতরে ঢুকে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে থাকে। সেখানে লাভানা লেবেল লাগানো বডি লোশন,ফর্সাকারী ক্রীম,স্পট ক্রীম,নীম সাবান এবং ডার্মা প্লাস লেবেল লাগানো হ্যান্ড ওয়াশ,রং ফর্সাকারী ক্রীম সহ অন্যান্য লেবেল প্যাকেটজাত করতে দেখা যায়।
এমতাবস্থায় কারখানা মালিক কারখানার দরজা বন্ধ করে দিয়ে সাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ সহ মারতে উদ্যত হয়। পরিস্থিতি বুঝে সাংবাদিকরা দরজা খুলে কারখানার বাইরে এলে সেখানে ডেইলী সান পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ইয়াসির আরাফাতকে লাঞ্ছিত করে ভুয়া প্রসাধনী কারখানা মালিক চপল। ঘটনাটি জানা জানি হলে জেলা ও উপজেলার সকল সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে দিবাগত রাতে সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত বাদী হয়ে প্রসাধনী কারখানার মালিক আহসান হাবীব ওরফে চপল সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দাখিল করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ,নকল প্রসাধনীর কারখানার মালিক আহসান হাবীব ওরফে চপলকে ২৮ জুন মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছেন।