মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে গোগা গ্রামের গাজীপাড়ার পাকা রাস্তার উপর থেকে স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী সাকিবকে আটক করা হয়।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, শার্শার রুদ্রপুর সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে, কর্নেল মোহাম্মদ তানভীর রহমান, (পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স) এর নেতৃত্বে একটি টহল দল শার্শা উপজেলার পশ্চিম রুদ্রপুর গ্রামের আজগরের আম বাগানের মধ্যে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক ১.২৩৩ কেজি ওজনের মোট ১০ টি স্বর্ণের বারসহ সাকিব হোসেনকে আটক করা হয়। উক্ত স্বর্ণের বারগুলো একটি প্লাষ্টিক ব্যাগে ইউরিয়া সারের মধ্যে কস্টেপ দ্বারা পেচানো গামছার ভিতরে মোড়ানো অবস্থায় অভিনব কায়দায় লুকায়িত ছিল। উক্ত স্বর্ণের বারগুলো শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের সালামের মোড় নামক স্থান হতে জনৈক ব্যক্তির নিকট হতে সংগ্রহ করেছে কিন্তু তার নাম জানেনা বলে আটক সাকিব বিজিবিকে জানায়।
খুলনা ২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ তানভীর রহমান (পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স) স্বর্ণ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামী স্বর্ণের বারগুলো রুদ্রপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচার করতে চেয়েছিল। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ৮৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫০ টাকা। আটক আসামীকে স্বর্ণ পাচার আইনে মামলা দিয়ে শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণ পাচাররোধকল্পে সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে এবং এ ধরনের কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করা হবে। স্বর্ণ চোরাচালান শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সর্বদা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে খুলনা ব্যাটালিয়নের দায়িত্বাধীন সীমান্ত এলাকা হতে ১১ টি অভিযানে ১৩ জন আসামীসহ ২২ কেজি ৮১১ গ্রাম স্বর্ণ আটক করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৬ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। ১১টি অভিযানের মধ্যে আগস্ট মাসেই ৪টি ও চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ৫টি অভিযানে স্বর্ণ আটক করা হয়।