মিলন কবির,যশোর থেকে: যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা শুরু হয়েছে। করোনাকালের তিন বছর পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রথমবারের মতো স্বশরীরে অংশ নিচ্ছেন জনসভায়।যশোরের এই সমাবেশ থেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাজনৈতিক বার্তা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
ইতিমধ্যে, যশোরসহ আশেপাশেরে জেলা থেকে জনস্রোত এখনো যশোরের স্টেডিয়ামের দিকে। বেলা ১২ টার আগেই শামস্-উল হুদা স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে । এখনও দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে মানুষ জনসভাস্থলের দিকে ছুটে আসছেন প্রধান মন্ত্রীকে এক নজর দেখার জন্য। দলীয় নেতাকর্মীদের স্লোগানে, স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে জনসভাস্থল। একই সাথে চলছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সংসদ সদস্যদের বক্তব্য প্রদান। এখন কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপেক্ষা গোটা যশোরবাসি।
আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কী বার্তা নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, জনসভাস্থলে বসে মুগ্ধ হয়ে তা শোনার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন ইতিহাস ঐতিযের বৃহত্তর যশোরবাসী। বেলা ২টা থেকে জনসভার কার্যক্রম শুরু হলেও সকাল ৮টার পর থেকে মানুষ মাদ্রাসামুখী হতে শুরু করে। তাদের স্বাগত জানাতে রঙিন হয়ে উঠেছে দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোর। সকাল থেকেই জনসভাস্থল অভিমুখে মানুষের ঢল দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাদা গেঞ্জি ও লাল-সবুজ টুপি পরে পুরুষ কর্মী-সমর্থকরা এবং লাল পাড়ের সবুজ শাড়ি পরে নারী কর্মী-সমর্থকরা এসব মিছিলে আছেন। সকাল থেকে যশোর শহরের বিভিন্ন সড়কে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, পাঁচ বছর পর জননেত্রী শেখ হাসিনা যশোরে জনসভায় আসছেন। এই জনসভা সফল করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। সভাস্থলে প্রবেশের জন্য আট থেকে ১০টি প্রবেশদ্বার খোলা হয়েছে। সভায় আগতদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও পানির ব্যবস্থা রয়েছে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসমাবেশ ঘিরে নিশ্চিত নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে প্রশাসন। জনসভাস্থলে পাঁচ স্তর এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
সকালে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর বলেন, জনসভাস্থলে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। গোটা যশোর জেলার ৮ উপজেলা গোয়েন্দা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। বিভিন্ন স্তরে চৌকস অফিসার ও ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ দেওয়ার ৫০ বছর পর সেই যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামেই উপস্থিত হচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। দেশের দক্ষিণবঙ্গের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যগত প্রভাবে ‘নতুন স্বপ্ন আর প্রত্যাশার ডালি’ নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী—এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।