সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের অনেক অভিন্ন বিষয় যেমন স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে বিজয়ী হয়েছিল।
দেশের জনগণ ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রশংসা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বাংলাদেশের মানুষ ‘বাংলা হবে ভিয়েতনাম’ স্লোগান দিত। কৃষি খাতের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, যেখানে বিপুল জনসংখ্যা রয়েছে “তাই, আমরা কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমাদের গবেষকদের নিযুক্ত করেছি”। প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের ওপর জোর দেন।
তিনি ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতকে তার মেয়াদ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তার দেশের সাফল্যের জন্য ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন নিজেকে ‘বাংলাদেশের বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ভিয়েতনামের সরকার ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক রয়েছে। ভিয়েতনামের নেতার পক্ষে রাষ্ট্রদূত দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩০ শতাংশ বেড়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং আরএমজি খাতে উভয় দেশ সহযোগিতা আরও বাড়াতে পারে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।