মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শার্শায় জামগাছ থেকে পড়ে স্কুল ছাত্রের অকাল মৃত্যু ভালো দাম পেলে বিক্রি হবে আসমা ভাবির লালু পালোয়ান। বেনাপোল থেকে ১৭টি সোনার বিস্কুট সহ আটক ১ ঝিনাইদহে প্রবীণ হিতৈষী সংঘের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী ফল উৎসব বিশ্বে ধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতিতে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ- বান্দরবানে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং শার্শার জামতলায় প্রধান মন্ত্রিকে হত্যার হুমকি ও বিএনপির সম্মেলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। ঝিনাইদহে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ ঝিনাইদহে “মার্কেট অর্গানাইজেশন এবং লিজিং” প্রচার কর্মশালা ঝিনাইদহের ঘোড়শাল ইউনিয়নের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা

প্রতিবন্ধী শিশু আলফাজের জন্য একটি হুইল চেয়ার প্রয়োজন।

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৮৫ Time View
প্রতিবন্ধী শিশু আলফাজের জন্য একটি হুইল চেয়ার প্রয়োজন।
প্রতিবন্ধী শিশু আলফাজের জন্য একটি হুইল চেয়ার প্রয়োজন।

মিলন কবির নিজস্ব প্রতিনিধি: শার্শার বাগআঁচড়ার টেংরা গ্রামের রোজিনা দম্পতির ৬ বছর আগে একটি পূত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু কপাল দোষে শিশুটির শারীরিক অবস্থা প্রতিবন্ধী হয়। শিশুটির নাম আলফাজ(৬)।তার জন্মের পর থেকে অনেক ডাক্তার কবিরাজ করেও তাকে সুস্থ করা সম্ভব হয়নি।শিশু আলফাজকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাদের শেষ সম্বলটুকুও ঘুচতে বসেছে।

এখন তার পরিবারের দাবি শিশু আলফাজের জন্য যদি কেউ একটা হুইল চেয়ার দিত তাহলে পরিবারটি উপকৃত হত।

আলফাজের দাদী তাসলিমা বলেন,আমরা অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখাইছি।কিন্তু ডাক্তারে বলেছে ওর ঘাড়ের শিরা যে কোন মূহুর্তে ছিড়ে যেতে পারে।ঘাড়ের শিরা কষার সমস্যা দেখা দিলে যে কোন মূহূর্তে ও মারা যেতে পারে।ওর জন্য আগুন পানি খুবই বিপদ জনক।

এবিষয়ে  জানতে চাইলে শিশুটির  মা রোজিনা খাতুন বলেন,অনেক ছোট বেলা থেকে আমার ছেলেকে কোলে কোরে মানুষ করতে হয়।অন্য বাচ্চাদের মত ও নিজের ইচ্ছাতে বসতে পারে না।এখন ওর বয়স ৬ বছর।যত বড় হচ্ছে ওর কোলে করে নিয়ে বেড়াতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।যদি কেউ আমার ছেলের জন্য ১টা হুইল চেয়ার দান করতো তাহলে আমাদের অনেক ভাল হতো ।কোলে করে নিয়ে বেড়াতে আমার খুব কষ্ট হয়।

প্রতিবেশি জানু খাতুন বলেন,আমরা বাচ্চাডার ছোট বেলা থেকে দেখছি ওর অনেক কষ্ট।ওর যখন শরীর কসে তখন চোখে দেখা যায়না।ওর চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভাল।যদি কেউ বাচ্চাডার পাশে এস দাঁড়াতো তাহলে উরা একটু বেছি যেতো।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে  আলফাজকে দেখতে আসেন ৮নং টেংরা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুজাম গাজী।তিনি বলেন,বাচ্চাটার কষ্ট দেখে আমার খুবই খারাপ লাগছে।আমি চেয়ারম্যান ও ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলে বাচ্চাটার ১টা হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করবো।ইতি মধ্যে আমি ওর জন্য একটা প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ডের আবেদন করেছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ভাতার টাকা হাতে পেয়ে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 SN BanglaNews
কারিগরি সহযোগিতায়: