বসির আহাম্মেদ- ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের জনজীবন। সকাল ৮ টার পর থাকে রোদের তীব্রতা বাড়েতে থাকে যা দুপুর ১ টার পর থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছায়।গত ৩/৪ দিন ধরে মাঝারি তাপদাহে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষগুলো। প্রকৃতির এমন আচরণে মানুষের প্রাণ বাঁচা বড় দায় হয়ে গেছে।
রমজান মাসে টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়ে ছিলো।ঈদের পর বৃষ্টিতে মানুষের কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও হঠাৎ ৩/৪ দিন ধরে মাঝারি তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে প্রাণীকুল থেকে শুরু করে মানুষের জনজীবন।
গরম থেকে বাঁচতে অনেককেই ডাবের দোকানে দাঁড়িয়ে ডাবের পানি খেতে দেখা গেছে।এছাড়াও লেবুর শরবতের দোকানে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সবথেকে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে শরবতের পানি খেতে দেখা যায় স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের। আর শিশুরা গরম থেকে রেহাই পেতে পুকুরের পানিতে দুরন্তপানায় সঙ্গী হয়েছে। পৌর এলাকার উদয়পুর গ্রামের কৃষক বাবুল হোসেন জানান,আমি আর আমার বাড়িয়ালা দুজনে মিলে ধান কাটছি কিন্তু প্রচন্ড গরমের কারনে গাছ তলায় এসে একটু প্রশান্তি নিতে হচ্ছে।ইজিবাইক চালক ইনতাদুল জানান,আমি প্রতি দিন সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকা থেকে পেটের তাগিদে শহরে এসে ইজি বাইক চালায়।কিন্তু গত ৩/৪ দিনের প্রচন্ড তাপদাহের কারণে ইজি বাইক চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তারপরও খুদা আর এনজিওর টাকা পরিশোধ করতে আমি আর আমার ছেলে দুজনে মিলে খুদার তাড়নায় আর দুবেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে বাঁচার আশায় ইজি বাইক চালাতে হচ্ছে।এছাড়া শহরের বীপনি বিতান গুলোতে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে বেচাকেনা নেই বললেই চলে।
অপরদিকে প্রচন্ড তাপদহে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না।আবার কিছু মানুষ অনেকটাই কাজের চাপে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। ৩/৪ দিনের অব্যাহত তাপমাত্রায় বেশি কষ্ট পাচ্ছেন এ জেলার কৃষি শ্রমিকেরা।কারণ বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত থেকে ধান কাটতে হচ্ছে।
তাপমাত্রার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং।এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবন।বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেটিং এর কারণে রাতে এসএসসি পরিক্ষার্থীরা পড়েছে দুর্ভোগে।