মিলন কবির,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এবারের কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে আসমা ভাবি তার বাড়িতে লালন পালন করেছেন লালু পালোয়ান নামের এক বিশাল আকৃতির ষাঁড়।মাত্র ৩ বছরে ষাঁড়টির ওজন হয়েছে ৮শ কেজি। ষাঁড়টি ৩ বছর আগে বাড়িতে একটি কোরাস জাতের ফ্রিজিয়ান গাভী থেকে নেওয়া হয়েছে। শার্শা উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের দক্ষিন পাড়ায় আসমা ভাবির বাড়িতে লালু পালোয়ান নামের এই গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশেপাশের মানুষ ।
ইছাপুর থেকে আসা মনিরুল ইসলাম বলেন, মানুষের মুখে শুনছি কন্যাদাহ গ্রামের ভাবির মোড়ে,আসমা ভাবি বিশাল এক গরু পুসেছে তাই নিজের চোখে দেখতে এলাম।গরু দেখে আমার ইচ্ছা হচ্ছে একটা গরুর খামার করবো।
স্বামী বাবলু হোসেন জানান,তিনি জমি মাপ যোগের কাছ করেন(আমিন)।তার পাশাপাশি বাড়িতে গরু পোশেন।আর সব কিছু দেখা শোনা করেন তার স্ত্রী আসমা খাতুন।
বিভিন্ন ইউটিউবে বড় বড় গরু দেখে মনে শখ জাগে বড় গরু পোশার, তাই বাড়িতে জন্ম নেওয়া এই নেপাল জাতের গরুটি এখন তার স্বপ্ন পূরন করতে চলেছে।মাত্র ৩ বছরেই তৈরী করে ফেলেছেন লালু পালোয়ান নামের শখের ষাঁড়টিকে। ৪ দাঁতের ষাড়টির উচ্চতা ,প্রায় ৫ ফিট। আর ওজন ,৮শ কেজি। ষাড়টির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৬ ফিট। এই কালু পালোয়ানের ওপর ভর করে, সামনের কোরবানি ঈদকে ঘিরে বড় স্বপ্ন দেখছেন, আসমা ভাবি। কোন হরমোন ইনজেকশন ছাড়ায়, প্রাকৃতিক খাবার দিয়েই,সন্তানের মত যত্ন করে লালন-পালন করেছেন ,ষাড়টিকে।আর বিশাল আকৃতির এই নেপাল জাতের ষাড়টির দাম হাঁকাচ্ছেন তারা, ৫ /৬ লাখ টাকা।
আসমা ভাবি বলেন,অনেক কষ্ট করে সন্তানের মত লালন পালন করেছি লালু পালোয়ানকে।এখন অনেক বড় হয়ে গেছে তাকে রাখার মত জায়গা আমার নেই।আমরা গরীব মানুষ তাই ভালো দাম পেলে বিক্রি করতে চাই।যারা গরুটি কিনতে ইচ্ছুক তারা আমাদের এই নাম্বারে যোগাযোগ করেন।
কোরবানির ঈদে হালাল মাংসের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে আসমা ভাবির ষাড়টিকে।লালু পালোয়ানকে ক্রয়ের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন স্কীনে দেখানো এই নাম্বারে ০১৯২৬৩২৫৬৬৩ ।