প্রতিবেদক, মিলন কবির: যশোর বেনাপোল হাইওয়ে সড়কের গাছ গুলো এখন মানুষের মরণ ফাঁদ।সড়কের দুই ধার দিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে জিরনোসিরনো বৃদ্ধ গাছ গুলো।যে গাছ গুলো এখন আর মানুষের উপকারে আসছে না।গাছ গুলো এখন না দিতে পারে অক্সিজেন,না দিতে পারে ছায়া।ইত মধ্যে ঘাছ গুলি মরে পাতা শূন্য হয়ে পড়েছে।এমনকি সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের ঘর্ষনে,ঘর্ষনে গাছ কেটে যাওয়ার মত হয়ে পড়েছে।
যেকোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।সম্প্রতি কিছু দিন আগেও ঝিকরগাছার বেনেয়ালী ব্র্যাক অফিসের সামনে ট্রাকের ধাক্কায় গাছের ডালভেঙ্গে পড়ে ২জনের মৃত্যু হয়েছে।আর কত মানুষের প্রাণ হারালে চোখ খুলবে পরিবেশবাদিদের।এমনটি প্রশ্ন সাধারন মানুষের মাঝে।
কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মানব বন্ধন,আন্দোলন,সংগ্রাম করেও কোন লাভ হচ্ছে না পরিবেশবাদিদের দেওয়া মামলার কারনে। যশোর-বেনাপোল সড়কের প্রবীন ভ্যান চালক মহরম আলী(৫৫)বলেন,তিনি এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করেন । কিন্তু গাছ গুলোর অবস্থা দেখলে ভয় লাগে কখন জানি মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ে।
নাভারন এলাকার স্কুল শিক্ষিকা হোসনেয়ারা বেগম বলেন,প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় মনের কাছে অনেক ভয় ভয় লাগে।এই মনে হয় শুকনো গাছের ডাল ভেঙ্গে মাথায় পড়লো।প্রধান মন্ত্রির কাছে জোরদাবি তিনি যেন দ্রুত এই মরা গাছ গুলি অপসারন করেন।
আগামী (২২-০৯-২৩)তারিখে ঝিকরগাছা সেবা সংগঠনের আয়োজনে মরা গাছ অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু।অকেজো গাছ অপসারনের দাবিতে ইতি মধ্যে তারা অনেক কর্মসূচি পালন করেছেন।যশোরের জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রদানসহ নিয়েছেন নানান পদক্ষেপ।কিন্তু পরিবেশবাদিদের কারনে সবই হয়েছে পন্ডশ্রম।এদের খুঁটির জোর কোথায় ?আর কত প্রাণ হারালে এদের টনক নড়বে।অতিদ্রুত গাছ গুলো অপসারনের জোরদাবি এখন সচেতন মহলের।