যশোরের বেনাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে এক সঙ্গে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান দুই দেশের বাংলাভাষীরা।
বুধবার বেলা ১১টায় বেনাপোলে এসে পৌঁছান ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও বিধায়ক (এমএলএ) শ্রী নারায়ন গোস্বামীর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক বাংলা ভাষাভাষী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পরে তারা শূন্যরেখায় নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।পরে শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিস্টি বিনিময় করেন।
দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী- রাজনীতিবিদদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ভারতের পেট্রাপোল আর বাংলাদেশের বেনাপোলের শূন্যরেখা।
বেনাপোলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদযাপন পরিষদ আর পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ পৌরসভা যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানটি করে আসছে ২০০২ সাল থেকে।তবে এবারই ব্যতিক্রম বাংলাদেশ অংশে কোন মঞ্চ কিম্বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি তবে ভারতের পেট্রাপোল আইসিপি বিএসএফ ক্যাম্পের সামনে ভারতের মঞ্চ করে তারা ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান করছে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উৎযাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক বেনাপোল পৌরমেয়র নাসির উদ্দিন বলেন, ২০০২ সাল থেকে ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দুই বাংলার ‘ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গা-পদ্মা ভাষা ও মৈত্রী সমিতির উদ্যোগে সীমান্তবর্তী প্রায় ২০টি সংগঠন এই মিলন মেলা শুরু করে।
যশোর-১ শার্শা আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন বলেন,নিজের ভাষার জন্য পৃথিবীর আর কোনো দেশ রক্ত দেয়নি।এ দেশের দামাল ছেলেরা রক্ত দিয়ে আজ সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।বাংলাদেশকে বিভক্ত করা হলেও ভাষাকে বিভক্ত করা যায়নি।
“বাঙালির অর্জনকে দুই বাংলা একসঙ্গে পালন করছে।এটা খুবই গর্বের বিষয়। দুই দেশের সোহার্দ্য,সম্প্রীতি ও মৈত্রীতে এ অনুষ্ঠান অনুপ্রেরণা যোগাবে।”
বিধায়ক (এমএলএ) শ্রী নারায়ন গোস্বামী বলেন, একুশের গৌরবের উত্তরাধিকারী পৃথিবীর সব বাঙালি। এর ব্যাপ্তি শুধু ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,অনেক বিস্তৃত। ভাষার টানে বাঙালি জাতির নাড়ির টানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে এখানে এসেছি।