ঝিনাইদহে একটি খামারে কোরবানী উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে ২৭ মণ ওজনের গরু যার দাম হাকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। যার নাম দেওয়া হয়েছে “দুদরাজ”। ওজন আকৃতি ও সৌন্দর্যে নজর কাড়ে সকলের। প্রতিদিন গরুটি দেখতে খামারে ভীড় করছে অনেকেই। দেশীয় পদ্ধতিতে লালনপালন করা হয়েছে ষাড়টিকে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালুহাটি গ্রামের খামারী দুদু মন্ডল। সাড়ে তিন বছর আগে নিজের গোয়ালের একটি গাভী জন্ম দেয় ফ্রিজীয়ান জাতের এই ষাড়টি। তিন বছর বয়সী এই ষাড়টির বর্তমান ওজন ২৭ মণ। নিজের নামের সাথে মিল রেখে তিনি ষাড়টির নাম রেখেছেন “দুদরাজ”। সব সময় ষাড়টিকে সন্তানের মতো আগলে রেখেছেন দুদু মন্ডল। এবারের কোরবানীতে জেলার সব চেয়ে বড় গরু দুদরাজকে বিক্রি করতে চান তিনি। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই ষাড়টিকে দেখতে আসছেন। অনেকে ষাড়টির ছবি ধারন করছে মোবাইল ফোনে। দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, ভুষি, খৈল, সোলা, কাচাঁ ঘাস খাওয়াইয়ে গরুটি বড় করা হয়েছে। ষাড়টি বাড়িতে জন্ম নেওয়ায় মালিকের দামের চাহিদাও বেশি না। ১০ লাখ টাকা হলেই বিক্রি করার আশা তার।
খামারী দুদু মন্ডল বলেন, আমি ষাড়টিকে সন্তানের মতো আগলে রেখেছি। আমার নিজের গোয়ালে পোষা গরু “দুদরাজ” এবারের কোরবানীতে জেলার সব চেয়ে বড় গরু। তবে ১০ লাখ টাকা হলেই বিক্রী করবো।
মিলন হোসেন নামের স্থানীয় কৃষক জানান, আমাদের গ্রামের খামারী দুদু মন্ডল তার নিজের গোয়ালে ফ্রিজীয়ান জাতের এই ষাড়টি কোরবানী ঈদে বিক্রী করবে বলে লালন পালন করছে। গরুটির পরিচর্যায় সারাটা দিন অতিবাহীত করতে দেখা গেছে তাকে।
এসিআই এনিমেল জেনেটিকস লিমিটেড’র সহকারী মার্কেটিং ম্যানেজার ডাঃ মনিরুজ্জামান মনির জানান, এসিআই এনিমেল জেনেটিকস’র পক্ষ থেকে গরুটিকে প্রথম থেকেই দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালনে তাকে সার্বিক সহযোগীতা করা হয়েছে। এমনকি সকল খামারীকে আমরা পশু পালনে সব ধরনে পরামর্শ দিয়েছি।
সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজিত কুমার মন্ডল জানান, এবার কোরবানী ঈদ উপলক্ষে সদর উপজেলায় ৬ হাজার খামারে প্রায় ৩৫ হাজার গরু, ছাগল প্রস্তুত রয়েছে।