মিলন কবিরঃ যশোরের জামতলার ঐতিহ্যবাহী স্পঞ্জ রসগোল্লা ‘সাদেক গোল্লার’ অত্যাধুনিক একটা শোরুমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে নাভারন সাতক্ষীরা মহাসড়কের শার্শা উপজেলার জামতলা বাজারের উত্তরে এই শোরুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ, বাগআঁচড়া কলেজের সাবেক উপাধাক্ষ্য মাওলানা ফারুক হাসান,জামতলা বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি মশিয়ার রহমান ও হাফিজুর রহমান।
দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হযরত মাওলানা হাফেজ হাফিজুর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সামটা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত আলী,ইউপি সদস্য জিয়াউল ইসলাম জিয়া,ইউপি সদস্য মোজাম গাজী,মাওলানা হাবিবুর রহমান,আব্দুর রশিদ,রেজাউল ইসলাম,আনোয়ার হোসেন বিদ্যুৎ,সাদেক কিন্ডার গার্ডেনের প্রধান শিক্ষক আলফি ইদ্রিস আলী শাহাজী প্রমূখ।
‘যে চেনে সে কেনে, সাদেকের সৃষ্টি জামতলার মিষ্টি’। এই স্লোগান নিয়েই সাদেক মিষ্টান্ন ভান্ডারের পথ চলা’। ১৯৫৫ সাল থেকে এই গোল্লার ঐতিহ্য বয়ে চলেছে।
আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে যশোরের সাদেক গোল্লা। যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা বাজারেই সাদেক মিষ্টান্ন ভান্ডারে পাওয়া যায়, এই সাদেক গোল্লা। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে সাদেক গোল্লার কদর।
নতুন করে এই শোরুমটা তৈরি করা হয়েছে। এটি সাদেক মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও সাদেক কনফেশনারি নামে আজ থেকে যাত্রা শুরু করলো।
সাদেক গোল্লা সৃষ্টিকারী শেখ সাদেক আলী বেঁচে এখন নেই। কিন্তু সাদেক গোল্লার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন তার ছয় ছেলে। সুনামের সঙ্গে বাবার রেখে যাওয়া এ ব্যবসাটি আঁকড়ে ধরে আছেন তারা।
প্রতিদিন দেড় থেকে দু’হাজার সাদেক গোল্লা তৈরি হয়। জামতলার শেখ সাদেক তার নামে বিশেষ রসগোল্লা তৈরি করেন গত শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। স্থানীয়ভাবে যা সাদেক গোল্লা নামে পরিচিত।
দেশের প্রায় সব জায়গায় রসগোল্লা তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে যশোরের জামতলার সাদেক গোল্লা গুণে, মানে ও স্বাদে অনন্য। এর স্বাদ দেশের আর কোনো রসগোল্লায় পাওয়া যায় না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ মিষ্টি তৈরি করা হলেও স্বাদের কারণে যশোরের সাদেক গোল্লাই সেরা।
স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত দেশি গরুর দুধ, উন্নতমানের চিনি আর জ্বালানি হিসেবে নির্দিষ্ট কাঠ এ মিষ্টি তৈরির মূল উপকরণ। হালকা মিষ্টি স্পঞ্জের এ রসগোল্লা দেখতে বাদামি রংয়ের।