বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফুর রহমান এবং মাতা সায়েরা বেগম, বঙ্গবন্ধু একাধারে একজন লেখক ও ভাষা সৈনিকও। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে তিনি সরাসরি যোগদান করেন। আন্দোলণ,সংগ্রামের কারণে তাকে অনেকবার জেলে যেতে হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন সৎ আর্দশবান রাজনীতিবীদ, নীতি আদর্শ নিয়ে তিনি বাংলাদেশকে সুখি সমৃদ্ধি দেশ গড়তে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিলেন,স্বাধীনতা পরবর্তী খুব কম সময়ের মধ্যে তিনি দেশকে বিশ্ব মানের করে গড়ে তুলেছিলেন, তবে তার এই উন্নয়নের গতি ধারা রুখতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করে কিছু অসৎ প্রকৃতির মানুষ,যেখানে সামরিক জান্তারাও যোগ দেয়। গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক জান্তার কিছু পথভ্রষ্ট সেনা সদস্য রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বর বাড়ীতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রায় ২৬ জনকে হত্যা করে, ঐ দিন শিশু রাসেলকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বিদেশে অবস্থান করায় শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যায়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে দেশের সর্বোচ্চ সন্মানিত স্থানে রেখে মহান এই নেতার ১০২ তম জন্ম বার্ষিকী পালণ ও জাতীয় ভাবে ঘোষিত শিশু-কিশোর দিবস উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশ ব্যাপি উদযাপণ করছে সরকারের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু’র গড়া ঐতিহ্যবাহী সংগঠন “বাংলাদেশ আ.লীগ”।
এ উপলক্ষে শার্শা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সূৃর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি,আধা-সরকারি,স্বায়ত্বশাসি
শার্শা উপজেলা প্রশাসন এবং শার্শা উপজেলা আ.লীগের পক্ষ থেকে পতাকা উত্তোলণ এবং উপজেলা প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এতে অংশ নেন-৮৫,যশোর-১ শার্শা আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, শার্শা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সভাপতি-বীরমুক্তি যোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার-মীর আলিফ রেজা,সহকারি কমিশনার(ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান-আলেয়া ফেরদৌস, শার্শা আ.লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য-অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিল, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান,বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ কামাল হোসেন ভূঁইয়া, শার্শা থানা ওসি(তদন্ত) মোঃ তারিকুল ইসলাম, ১০ নং শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান-কবির উদ্দিন আহম্মেদ তোতা, বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান-মফিজুর রহমান, বেনাপোল পৌর আ.লীগ সভাপতি-এনামুল হক মুকুল,সাধারণ সম্পাদক-মোঃ নাসির উদ্দিন,এমপি’র পিএ-আসাদুজ্জামান আসাদ, পৌর আ.লীগ নেতা-মনিরুজ্জামান ঘেনা,ছোট আলী কদর, শার্শা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার-মোজাফ্ফর হোসেন, শার্শা যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য-অহিদুজ্জামান অহিদ,সাধারণ সম্পাদক-সোহরাব হোসেন, শার্শা উপজেলা আনসার কমান্ডার-আব্দুল্লাহ আল রাসেল,শার্শা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি-আব্দুর রহিম সরদার,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক-আল আমিন রুবেল সহ শার্শা উপজেলার বিভিন্ন সরকারি,বে-সরকারি কার্যালয়ের কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ ও আ.লীগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-নেতৃবৃন্দ।
এ উপলক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ত্ব দেন এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। পরে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে শিশু-কিশোরদের সাথে করে ১০২ পাউন্ড ওজনের একটি কেক কাটেন তিনি। পরিষদ প্রাঙ্গণ জুড়ে “মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণ জয়ন্তী মেলা-২০২২” উদ্বোধণ শেষে অডিটরিয়ামে আলোচনায় অংশ নেন তিনি।
এদিকে, ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু-কিশোর দিবস পালনের লক্ষ্যে দিন ব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি গহণ করেছে শার্শা এবং বেনাপোল মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন। সকাল ৭ টা ১৫মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মাগরিবের নামাজ আদায়ের পর কেককাটা ও দোয়া অনুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর উপরে নির্মিতব্য প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণ। এতে সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড,যশোর জেলা শাখার সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক,বেনাপোল পৌর আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের চেকপোষ্ট ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক-মো: ফারুক হোসেন উজ্জল।