মিলন কবির,স্টাফ রিপোর্টার: ইউটিউব দেখে বিদেশি জাতের ব্ল্যাক রাইস বা কালো ধান চাষ করে অবাক করে দিয়েছে শার্শার কৃষক জিয়াউর রহমান।তার চাষ দেখে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে শার্শা উপজেলার কৃষকদের। এ ধান চাষাবাদ পদ্ধতি সাধারণ ধানের মতোই। ফলন তুলনামূলক কম হলেও দামের ক্ষেত্রে এ ধান চাষে দ্বিগুণের চেয়ে খরচ বাদে অধিক লাভ হয়। ইতিমধ্যে ধান কর্তন করার সময় হয়ে গেছে।
কালো ও বেগুনী জাতের ধান চাষ করে অবাক করেছেন শার্শার কৃষক জিয়া।
এ জাতের ধান বিঘাপ্রতি ১৮ থেকে ২০ মণ ফলন হতে পারে। খেতে সুস্বাদু, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।স্থানীয় কৃষকের মাঝে কালো ধান চাষে এখন অধিক আগ্রহ।
উপজেলার বনমান্দার গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমান এই মৌসুমে ৮ শতক জমিতে বেগুনী ধান ও ১০ শতক জমিতে (ব্লাক রাইস)কালো ধান চাষ করেছেন ।তাতে অধিক ফলনের আশা করছেন তিনি।
নটাদিঘা মাঠের প্রবীন কৃষক মতিয়ার রহমান(৬০) বলেন,আমাদের মাঠে জিয়া এই ধানডা প্রথম চাষ করেছে।প্রতিদিন মানুষ তার ধান দেখতে ভিড় করছেন। ‘সাধারণ ধানের মতোই কালো ধান চাষ করতে হয়।শুনছি ইরি ধানের চেয়ে সার, কীটনাশক ও পানি খরচ কম হয়।
কালো ও বেগুনী জাতের ধান চাষ করে অবাক করেছেন শার্শার কৃষক জিয়া।
ফাইজেল ইসলাম ও শফিকুল নামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই কালো জাতের ধান তাদের মাঠে প্রথম চাষ হচ্ছে।এই ধানের ভাতে প্রচুর ঔষধি গুনাগুন রয়েছে তাই তারাও জিয়ার কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে এই ধানের চাষ করবে বলে জানান।
কৃষক জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ইউটিউবে দেখে এই ধান চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।ধানের বীজ গুলো অনলাইনে গত বছর ফেনী থেকে সংগ্রহ করতে প্রতি কেজি ধান খরচসহ ৯০০ টাকা পড়েছে। তার জমিতে যা ধান উৎপাদন হয়েছে তা নিজে চাষ করেও বাহিরে কৃষকদের কাছে বীজ বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
কালো ও বেগুনী জাতের ধান চাষ করে অবাক করেছেন শার্শার কৃষক জিয়া।
যশোর জেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, এ চালের ভাত নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস, ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া এ চাল হার্টকে সুস্থ রাখে। এ জন্য ধান চাষটা যাতে শার্শা উপজেলায় সকল কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি আমরা সেই কাজ করে যাচ্ছি।তবে এর দাম ও ফলন কেমন হবে সেটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।